Skip to main content

উইন্ডোজ ৮.১ রিভিউঃ নতুন পথে জানালা


উইন্ডোজ ৮ রিলিজ পাওয়ার পর থেকেই একে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওঠাটাই স্বাভাবিক, কারণ উইন্ডোজ ৮ এর প্রকাশের মাধ্যমেই মুলত প্রচলিত ইউজার ইন্টারফেস থেকে টাচ বেজড ইউজার ইন্টারফেসের দিকে তাদের প্রথম পদক্ষেপটি বাড়ায়। উইন্ডোজ ৮ এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের এতদিনের পরিচিত ফর্ম-ফ্যাক্টর গুলো যে অচিরেই টাচ বেজড ডিভাইস গুলোকে জায়গা করে দিবে তা উপলদ্ধি করতে শুরু করি।                           
আগেই বলা হয়েছে উইন্ডোজ ৮ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর নতুন যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ, তাই প্রথম পদক্ষেপ পুরোপুরি ত্রুটিমুক্ত না হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু উইন্ডোজ ৮ প্রমাণ করেছে সে তার প্রথম পদক্ষেপটি ফেলেছিল প্রায় ৮০% সঠিক। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকে সবসময়ই ১০০% পাওয়ার, অন্তত মাইক্রোসফটের মত একটা কম্পানির নিকট আমাদের প্রত্যাশার পারদ একটু চড়াই থাকে।
প্রতি উইন্ডোজের রিলিজের পরই মাইক্রোসফট গ্রাহকদের চাওয়া ও অসুবিধার তথ্য সংগ্রহ করে মাইক্রোসফট। সেই ফিচার গুলো যোগ আর অসুবিধাগুলোর বিয়োগ ঘটে সাধারণত পরবর্তী উইন্ডোজ রিলিজে।তাই উইন্ডোজ ৮ এর রিলিজের পরই গ্রাহকরা মাইক্রোসফটের নিকট জানায় তাদের প্রত্যাশার কথা। সে সকল প্রত্যাশা আর মাইক্রোসফটের ভবিষ্যত পরিকল্পনার মিশেলেই এসে গেল উইন্ডোজ ৮.১।
গত ১৮ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী রিলিজ পেয়েছে উইন্ডোজ ৮.১, বর্তমান সকল উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ আরটি গ্রাহকগণ উইন্ডোজ অ্যাপ স্টোর এর মাধ্যমে বিনামূল্যে উইন্ডোজ ৮.১ এ আপগ্রেড করতে পারবেন। এছাড়া একই দিন থেকে বিশ্বের সকল অনলাইন স্টোর এবং রিটেইলারের নিকটও এটি পাওয়া যাচ্ছে।
চলুন তাহলে আর দেরী না করে ঝাঁপ দেই রিভিউ এর দুনিয়ায় এবং জেনে নেই কি নতুনত্ব আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে !

ইন্সটলেশন এবং ওওবিইঃ

উইন্ডোজ ৮.১ এ ইন্সটলেশন ইন্টারফেস পুরোপুরি উইন্ডোজ ৮ এর মতই আছে। আমি প্রথমবার বেশ একটা ধাক্কাই খেয়েছিলাম যখন দেখলাম বুট লোগো পুরোনো এবং ইন্সটলার উইন্ডো তে উইন্ডোজ ৮ এর লোগো! পরে অবশ্য লাইসেন্স এ ৮.১ দেখে নিশ্চিত হয়েছিলাম আমি ভুলে উইন্ডোজ ৮ বুট করিনি।

স্টার্টস্ক্রিনঃ

প্রথম দেখায় যে জিনিসটা আপনার চোখে পড়বে তা হল স্টার্ট স্ক্রিনের আরো নতুন নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড এবং কালার অপশন। এখন পিসি সেটিংস এ না গিয়েই আপনি চার্ম বারের সাহায্যে খুব সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করতে পারবেন।
আর একটি নতুন সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার ডেস্কটপ ওয়ালপেপার কেই স্টার্ট স্ক্রিন ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে সেট করতে পারবেন।
আরেকটি নতুন সুবিধা যেটি উইন্ডোজ ফোন ৮ এ প্রথম দেখা গিয়েছিল তা হল চার আকারের টাইলস সুবিধা। এখন আপনি রিসাইজ্যাবল টাইলস গুলো Large, Wide, Medium ও Small এই চারটি আকারে পরবর্তন করতে পারবেন।
অন্য যে দিকটা ভাল লেগেছে তা হল এখন আর আগের মত কোন ডেস্কটপ অ্যাপ ইন্সটল করা মাত্র তার টাইল স্টার্টস্ক্রিণে পিনড হয়না। ফলে আপনার স্টার্টস্ক্রিণ কয়েকদিন ব্যবহারের পরও আর জঞ্জালে পরিপুর্ণ মনে হবেনা।
একটি নতুন বাটন যুক্ত হয়েছে স্টার্টস্ক্রিণের বাম পাশের নিচের দিকে যার সাহায্যে আপনি সহজেই All Apps পেজে যেতে পারবেন। All Apps পেজে আপনার পিসিতে ইন্সটলকৃত সকল মর্ডার্ণ এবং ডেস্কটপ অ্যাপস দেখতে পারবেন। তাই টাইল স্টার্টস্ক্রিণে যুক্ত না হলেও অ্যাপগুলো আপনি অ্যাক্সেস করতে পারবেন সহজেই।

ডেস্কটপঃ

মাইক্রোসফট গত কয়েক উইন্ডোজ রিলিজ ধরে ডেস্কটপ ইন্টারফেস পরিবর্তনে এক প্রকার অনীহাই দেখাচ্ছে। এর ব্যতীক্রম এবার ঘটেনি। তাই প্রথম বুটের পর আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে সেই ভিস্তা যুগের ডেস্কটপ ইন্টারফেসই।
ডিফল্ট ওয়ালপেপার হিসেবে আছে একটি হলুদ রাঙ্গা ওয়ালপেপার। এক্ষেত্রেও উইন্ডোজ ৮ এর ডিফল্ট ওয়ালপেপারে যেমন অনেক কিছুই লুকায়িত ছিল, উইন্ডোজ ৮.১ এ তেমন কিছু নেই।
যারা উইন্ডোজ ৮ যারা ব্যবহার করছেন কিন্তু উইন্ডোজ ৮.১ প্রিভিউ ব্যবহার করেননি কিংবা খবর ও দেখেননি তাদের চোখ নিশ্চয়ই আটকে গেছে উপরের ছবিটার নিচের সর্ব বামের কোণায়। হ্যাঁ, ভুল দেখছেন না মাইক্রোসফট স্টার্ট বাটনের প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছে এই রিলিজে। তবে তার কাজ এখন ডেস্কটপ আর স্টার্টস্ক্রিনের মধ্যকার সুইচার হিসেবেই সীমাবদ্ধ। তবুও অনেক ইউজার কে অন্তত চোখের শান্তি দেবে স্টার্ট বাটনের আগমন।
স্টার্টবাটনের মাধ্যমে স্টার্টমেনুর আগমন না ঘটলেও এতে রাইট ক্লিক করলে নতুন একটি মেনু আসবে যাতে রয়েছে দরকারী অনেক শর্টকাট। উইন্ডোজ ৮ এও এটি রয়েছে কিন্তু শাট ডাউন মেনুটি নতুন সংযোজন। এছাড়া Windows Key + X চেপেও মেনুটি অ্যাক্সেস করা যায়।
মর্ডার্ন ইউআই একটি সম্ভাবনাময় ইন্টারফেস হলেও অনেকেই এখনো এর সাথে তেমন অভ্যস্ত হতে পারিনি। তাই অনেকেই উইন্ডোজ ৮ এ থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করে সরাসরি ডেস্কটপে বুট করতেন। তাদের কথা চিন্তা করে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮.১ এ সরাসরি ডেস্কটপে বুট করার সুবিধা যোগ করেছে।

ডেস্কটপ ফাইল ম্যানেজারঃ

উইন্ডোজের অন্যতম বড় আকর্ষণীয় দিক ফাইল ম্যানেজার বা এক্সপ্লোরার। উইন্ডোজ ৮ এর থেকে তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি এই দিকটায়। পরিবর্তনের মধ্যে সবচেয়ে বড় এর নাম, এখন এক্সপ্লোরার পরিচিতি পাবে This PC নামে। নামেই বুঝা যাচ্ছে আপনার পিসির প্রায় সবকিছুই পরিচালনা করতে পারবেন এর মাধ্যমে। ডিস্ক ড্রাইভ থেকে শুরু করে স্কাই ড্রাইভ সবই ম্যানেজ করতে পারবেন এখান থেকে।
এখানেও রয়েছে আরেকটি প্রত্যাবর্তন, এখানে আপনার পার্সনাল ফোল্ডার যেমন ডকুমেন্টস, ডাউনলোডস ইত্যাদি অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এই ফিচারটি উইন্ডোজ এক্সপি তে থাকলেও পরবর্তি রিলিজ গুলোতে ছিল না। অবশ্য কার যদি পছন্দ না হলে রিমুভও করতে পারবেন সহজেই।

সেটিংসঃ

সময়ের সাথে মাইক্রোসফট চাচ্ছে উইন্ডোজের সব কিছুই মর্ডার্ন ইন্টারফেসের আওতায় আনতে। তারই ধারাবাহিকতায় এখন আপনি পিসি সেটিংস থেকেই আরো ডিপ লেভেল সেটিংসও দেখতে ও পরিবর্তন করতে পারবেন।

স্টোরঃ

বর্তমানে উইন্ডোজের প্রতিদ্বন্দ্বী শুধু ম্যাক কিংবা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমেই সীমাবদ্ধ নয়, উইন্ডোজ ৮ এর রিলিজের পর থেকে মাইক্রোসফট ট্যাবলেট বাজারকে তার হাতের মুঠোয় নেয়ার চেষ্টা করছে। একাজে মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় বাধা অ্যাপল এর আইওএস এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। বর্তমান ট্যাবলেট বাজারের প্রায় পুরোটাই এই দুই জায়ান্টের দখলে এবং এই দখলদারীত্বের যেটি সবচেয়ে বড় নিয়ামক তা হচ্ছে অ্যাপস।
অপারেটিং সিস্টেমে যত বেশী অ্যাপস তার গ্রাহকপ্রিয়তা তত বেশী, বর্তমান বাজারে এরকম চলই লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই দুই ঘোড়ার দৌরে মাইক্রোসফট তৃতীয় ঘোড়া হিসেবে জায়গা করে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ডেভেলপারদের। কারণ তারাই পারে কোয়ালিটি অ্যাপস তৈরি করে গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে। তাই উইন্ডোজ ৮.১ এ ডেভেলপারদের জন্য বাড়তি সুবিধার পাশাপাশি গ্রাহকদের জন্যও এসেছে অনেক পরিবর্তন।
উইন্ডোজ ৮.১ এ স্টোরের ইন্টারফেসে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন ইন্টারফেসটি এখন আগের চাইতে অনেক গোছানো এবং আকর্ষণীয়।
উইন্ডোজ এর মর্ডার্ণ অ্যাপের সংখ্যা প্রথম থেকেই বেশ ভালভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার পাশাপাশি এখনকার ট্যাবলেট মার্কেটের অনেক জনপ্রিয় টাইটেলও এখন খুজে পাবেন উইন্ডোজ স্টোরে।
স্টোরের আরেকটি নতুন সুবিধা অটো অ্যাপ আপডেট। এখন আর স্টোর থেকে নামানো অ্যাপ গুলো ম্যানুয়ালি আপডেট করতে হবেনা, অটো আপডেট অন করে নিলে স্টোর নিজে থেকেই অ্যাপ গুলো আপডেট করে নেবে।

ইউনিফাইড সার্চঃ

উইন্ডোজ ৮.১ এর আরেকটি দারুণ ফিচার ইউনিফাইড সার্চ। অর্থাৎ এখন থেকে উইন্ডোজ ৮.১ এর চার্মবার থেকে একাধারে আপনি কম্পিউটারের সকল অ্যাপ, ফাইল ও ওয়েব সার্চ করতে পারবেন। যারা অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করেছেন তারা গুগল নাউ এর মিল পাবেন নতুন এই ফিচারটির সাথে।
বিশেষ ক্ষেত্রে আপনার সার্চ রেজাল্ট প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সহ এরকম সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হবে।

উন্নত মাল্টিটাস্কিং:

উইন্ডোজ ৮.১ এসেছে আরো উন্নত মাল্টিটাস্কিং সুবিধা নিয়ে। নতুন স্ন্যাপ এর মাধ্যমে আপনি একত্রে একসঙ্গে চারটি পর্যন্ত অ্যাপ স্ন্যাপ করতে পারবেন অর্থাৎ পাশাপাশি চালাতে পারবেন।
এই ফিচারটি অ্যাপ ও স্ক্রিন রেজ্যুলেশনের ওপর নির্ভরশীল বলে স্ন্যাপ করা অ্যাপের সংখ্যা বিভিন্ন হতে পারে।

ভাষা ও বাংলাঃ

মাইক্রোসফট মাল্টিল্যাঙ্গুয়েজ সাপোর্টকে উইন্ডোজ ৮ এ বেশ গুরুত্বের সাথেই নিয়েছিল যার ধারা এখনো অব্যাহত আছে। উইন্ডোজ ৮.১ অনেক গুলো নতুন ভাষার সাপোর্ট যুক্ত করেছে।
উইন্ডোজ ৮.১ এর পিসি সেটিংস থেকে সহজেই বাংলাকে আপনার প্রাইমারী বা প্রধান ভাষা হিসেবে সিলেক্ট করতে পারবেন। ফলে কিবোর্ড এ লেখার সময় ডিফল্ট হিসেবে সিলেক্টেড থাকবে বাংলা। আপনি সহজেই Windows Key + Space চেপে আপনার সিলেক্ট করা ভাষা গুলোর মধ্যে পরিবর্তন করতে পারবেন।
তবে এখনো একটি অপুর্ণতা রয়েই গেছে। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮.১ এও কোন বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাক রিলিজ করেনি। আমাদের অনুরোধ থাকবে একুশে ফেব্রুয়ারীর জন্মভূমির মাতৃভাষা, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ভাষা বাংলার যেন একটি ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাক রিলিজ করা হয়।

মিউজিক ও ভিডিওঃ

উইন্ডোজ ৮.১ এর মর্ডার্ন মিউজিক প্লেয়ারে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। এটি এখন থেকে পরিচিতি পাবে এক্সবক্স মিউজিক নামে। নামের সাথে এর ইন্টারফেসেও এসেছে অনেক পরিবর্তন।
নতুন মিউজিক অ্যাপটি সিম্পল ডিজাইনের কিন্তু খুবই আকর্ষণীয়। আগের মিউজিক প্লেয়ারটি অ্যালবাম আর্ট লোড করতে গেলেই অ্যাপটি অনেক ল্যাগ করত। কিন্তু নতুন প্লেয়ারটি বেশ ফাস্ট এবং ফ্লুইড যা আপনাকে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার চালু করা থেকে বিরত রাখতে যথেষ্ট।
উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের মতই বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে গান গুলো সর্ট করার সুবিধা আছে এতে।
মিউজিক প্লেয়ারের ইন্টারফেসে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হলেও ভিডিও প্লেয়ারের ইন্টারফেসটি তেমন পরিবর্তন করা হয়নি। তবে ইন্টারফেসের তেমন পরিবর্তন না হলেও পার্ফর্মেন্স উইন্ডোজ ৮ এর চাইতে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং মেসেঞ্জিং:

বর্তমান সময়টাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর। তাই এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই উইন্ডোজ ৮.১ ও। উইন্ডোজ ৮.১ এ প্রিইন্সটলড হিসেবে রয়েছে Peoples অ্যাপ যার মাধ্যমে আপনি টুইটার, ফেসবুকের মত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে যুক্ত থাকতে পারবেন।
এছাড়া পিছিয়ে নেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর অফিসিয়াল অ্যাপ সমুহও। উইন্ডোজ ৮.১ এর রিলিজের দিন বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ রিলিজ পেয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোড়ন তুলেছে ফেসবুকের অফিসিয়াল অ্যাপটি। ইউনিফাইড সার্চ, স্ন্যাপ ভিউ এর সকল সুবিধা নিয়ে তৈরি করা অ্যাপটি স্টোরে বিনামুল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
উইন্ডোজ ৮.১ আরেকটি প্রশংসনীয় সংযোজন, স্কাইপে অ্যাপ। উইন্ডোজ ৮ এর মেসেঞ্জিং অ্যাপটির বদলে এখন থেকে স্কাইপ উইন্ডোজ ৮.১ এর প্রধান মেসেঞ্জার হিসেবে থাকবে। স্কাইপের ব্যাপারে নতুন কিছু বলার নেই, অ্যাপটিতে স্কাইপের সকল সুবিধাই পাওয়া যাবে হাতের নাগালে।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারঃ

উইন্ডোজ ৮.১ এর সাথে প্রি ইন্সটলড রয়েছে মাইক্রোসফটের সর্বশেষ ইন্টারনেট ব্রাউজার, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১; বর্তমানে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার তার বাজারের বেশ বড় অংশই হারিয়েছে ক্রোম ও ফায়ারফক্সের কাছে। তাই মাইক্রোসফট বেশ জোরেশোরেই নেমেছে হারানো রাজত্ব উদ্ধার করতে। ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ এর মেট্রো ইন্টারফেসের কিছু পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, এখন আপনি সহজেই অ্যাড্রেসবার কে স্থায়ীভাবে ভিসিবল করে রাখতে পারবেন। আরো কিছু ছোট পরিবর্তনের সাথে ইঞ্জিনের ব্যাপক পরিবর্তন পার্ফর্মেন্স অনেকাংশেই বৃদ্ধি করেছে।

হেল্প এবং টিপসঃ

উইন্ডোজ ৮ এ অনেক নতুন জেটসার ও নতুন কন্ট্রোল নিয়ে আসে। বেশিরভাগ নতুন ইউজারদের এসকল নতুন ফিচার গুলোর সাথে মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হয়েছে। তাই নতুন ফিচার গুলোর সাথে ইউজারদের পরিচিত করতেই উইন্ডোজ ৮.১ দেয়া আছে Help+Tips নামে একটি অ্যাপ। এর মাধ্যমে সহজেই একজন ইউজার উইন্ডোজ ৮.১ এর নতুন ফিচার গুলোর সাথে পরিচিত হতে পারবেন।

কিভাবে আপগ্রেড করবেনঃ

যারা উইন্ডোজ ৮ ব্যবহার করছেন তারা বিনামুল্যে উইন্ডোজ ৮.১ এ আপগ্রেড করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে উইন্ডোজ স্টোর এর মাধ্যমে আপগ্রেড করতে হবে। এছাড়া আপনি যদি DreamSpark বা MSDN/TECHNET এর সদস্য হয়ে থাকেন, তবে আপনি ISO ইমেজ ডাউনলোড করেও আপগ্রেড করতে পারেন বা ক্লিন ইন্সটল করতে পারেন।

এখন প্রশ্ন হল, আপনি কি উইন্ডোজ ৮.১ আপগ্রেড করবেন?

আপনি যদি উইন্ডোজ ৮ এর ইউজার হয়ে থাকেন তবে উত্তর হবে, হ্যাঁ, অবশ্যই। উইন্ডোজ ৮ এর থেকে ৮.১ এ আপগ্রেড না করার কোনো উপাদান ই উপস্থিত নেই ৮.১ এ। কারণ উইন্ডোজ ৮ থেকে ৮.১ সব দিক থেকেই অনেক উন্নত, আরো পরিণত।
আপনি যদি উইন্ডোজ ৭ এ থাকেন, উইন্ডোজ ৮ স্কিপ করে, আমি বলব এবার সময় হয়েছে নতুন কিছু ট্রাই করার। উইন্ডোজ ৮ এর সম্পর্কে যেসকল দুর্নাম আপনি হয়ত শুনেছেন তার অনেকাংশই ৮.১ এ অনুপস্থিত। তাই আমি মনে করি না ৮.১ আপনার কর্মদক্ষতাকে বাড়ানো ছাড়া কমিয়ে দেবে। উইন্ডোজ এক্সপি ইউজারদের প্রতি কিছু বলার মত ভাষা অবশ্য আমার অভিধানে নেই।
অনেকেই হয়ত এতক্ষন পড়ে বুঝে গেছেন উইন্ডোজ এর নতুন আপগ্রেড সাইকেল এর জন্যেই পোস্টের এ টাইটেল। ট্যাবলেট মার্কেটের সাথে তাল মেলাতে এবং উইন্ডোজ ৮.১ এর সমস্যা গুলো শোধরাতে হয়ত আগামী একবছর পরেই আমরা নতুন আরেকটি আপগ্রেড পাব। ফলে দ্রুত আপডেটের কারণে উইন্ডোজ হয়ে উঠবে আরো আকর্ষণীয়।
সবমিলিয়ে বলা যায় উইন্ডোজ ৮.১ বর্তমান বাজারের ডেস্কটপ ও ট্যাবলেট ওএস গুলোর মধ্যে শক্তিশালী অবস্থানেই আছে। উইন্ডোজ ৮.১ নিয়ে মাইক্রোসফট প্রস্তত আবার বাজারকে মাত করার জন্য।

শেষ কথাঃ

উইন্ডোজ ৮ এসেছিল নতুন যুগের টাচ বেজড উইন্ডোজ ইন্টারফেসের সুচনা করতে। নতুন যুগের প্রথম পদক্ষেপ ছিল এটি। প্রথম পদক্ষেপ বলেই বেশ কিছু ফিচার ছিল অসম্পুর্ণ, কিছু পরিবর্তন ছিল ভুল। কিন্তু আশার কথা হল মাইক্রোসফট খুব দ্রুতই এসকল ত্রুটি গুলো ধরতে পেরেছে এবং মাত্র এক বছরের মধ্যেই একটি নতুন রিলিজ প্রকাশ করে তাদের ভুল গুলো শোধরানোর যথাসম্ভব চেষ্টা করেছে।

Comments

Popular posts from this blog

4 ways to make the most with Honeygain

  4 ways to make the most with Honeygain If you’re taking your first steps with Honeygain, it’s possible you don’t know about the multiple possibilities this money making app can offer. Not only we’re ready to help you increase your earning potential, but this time we’ll share with you how to make the most with Honeygain (aka the revolutionary app of effortless passive income). If you want to find out: Whether you’ve had set up your app properly How exactly does the referral system work More about Content Delivery feature Does the Internet speed matter and why... …keep on reading, because you’re at the right place. 1. Set up the app properly The setup process can take up to 3-5 minutes (on average), but it’s crucial you follow all the steps in order to start making money. And, yes, signing up is the first part, but it’s not the last. Let’s go through the steps together, so you can get to the payout quicker. First, as mentioned before, you should create an account. Sign up on our of...

Make Money with 7 Amazon Online Jobs Work from Home

Amazon is the world’s largest online store. According to various sources such as Europe-based statistics portal Statista and renowned news network CNN, the company had over half a million employees worldwide. Additionally, Amazon is a major source of livelihood for millions of individuals who earn money performing various tasks with Amazon. Therefore let us look at  some of the avenues from where you can earn money through Amazon, regardless of your location. Make Money with 7 Amazon Online Jobs from Home Amazon depends on freelancers, craftsmen, writers, bloggers, YouTubers and motley other individuals to assist in its colossal business. Here are some excellent ways that you can utilize to earn from this online mega-store. Amazon Affiliate Marketing Affiliate Marketing is a process by which you promote specific products of Amazon through your Facebook page, website, blog or any other method. To earn money as Amazon Affiliate, you need to register with the company. ...